মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৫ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ এক সময়ের কর্মজীবী মো. আনিছুর রহমান রোগাক্রান্ত হয়ে বয়সের ভারে এখন আর চলতে ফিরতে পারছেন না। আয় রোজগার না থাকায় সংসার চালানোই দায়। এ অবস্থায় সরকারের দেওয়া বয়স্ক ভাতার টাকায় কোনো মতে চলতেন। সম্প্রতি মোবাইল ব্যাংকিংয়ে টাকা যাওয়ায় এখন তিনি ভাতা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তার প্রাপ্য টাকা চলে যাচ্ছে এলাকার মেম্বার জসিম উদ্দিন বাবুলের মোবাইলে। এ রকম সত্যতা পাওয়া গেছে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আনিছুর রহমান বিচার দাবি করে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আনিছুর রহমানের বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের মেরাকোনা গ্রামে। আজ শনিবার দুপুরে উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের চানপুর ঈদগাহ মাঠের পাশে অবস্থিত একটি ফার্মেসিতে বসে কথা হয় আনিছুর রহমানের সাথে।
তিনি বলেন, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা খাতের তিনি একজন তালিকাভুক্ত ভাতাভোগী। তার পাসবাই নম্বর ৮৫২৪। কিন্তু তার ভাতার টাকা পাচ্ছেন তার এলাকার ইউপি সদস্য জসীম উদ্দিন বাবুল।
জসীম উদ্দিন এখানে কিভাবে যুক্ত হলেন প্রশ্ন করলে আনিছুর রহমান বলেন, মেম্বারের মাধ্যমে তিনি উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সমাজসেবা কার্যালয়ে তার (আনিছুর) স্থলে মেম্বার তার নিজের মোবাইল ব্যাংকিং নম্বর লিখে দিয়ে এসেছেন।
তার পরিচিত অনেকেই সরকারি ভাতার টাকা পেয়েছেন। কিন্তু তিনি ভাতার টাকা পাননি। আনিছুর পরে সমাজসেবা কার্যালয়ে গিয়ে জানতে পারে যে নম্বরে টাকা ছাড়া হয়েছে সেটি জসীম মেম্বারের। ওই মোবাইল ব্যাংকিং নম্বরে দুই কিস্তিতে চার হাজার পাঁচশত দশ টাকা পাঠানো হয়েছে বলে তথ্য রয়েছে সমাজসেবা কার্যালয়ে।
শনিবার দুপুরে বাড়িতে গিয়ে জসীম উদ্দিন মেম্বরকে পাওয়া যায়নি। এলাকার লোকজন যে মুঠোফোন নম্বর দিয়ে তার সাথে যোগাযোগ করেন সেটি সংগ্রহ করে ফোন করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। সমাজসেবা কার্যালয়ে আনিছুরের নামের পাশে এই নম্বরটি দেওয়া রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল মনসুর জানান, অভিযোগটি গুরুতর। তদন্ত করে দেখা হবে।
Leave a Reply